সুগারবিট চাষ: সুগারবিটসহ ফল ও সবজি চাষে শুধুমাত্র গোবরের সার ব্যবহার করা হয়। প্রয়োজনে জৈব সারও ব্যবহার করা যেতে পারে। কৃষি পর্যবেক্ষক প্রহ্লাদ জাঙ্গিদ ও পুরাণ প্রকাশের মতে, উদ্ভাবনের কারণেই এসব সম্ভব হয়েছে।
ঝুনঝুনু। সুগার বিট চাষের জন্য পলি জমির প্রয়োজন হলেও ঝুনুনুন জেলার পাহাড়ি এলাকার কৃষকরাও ছাঁটা স্তরে সুগার বিট চাষ করছেন এ জন্য দেশি গোবর সার কাজে নেওয়া হচ্ছে বিশেষ বিষয় হল বিট চাষে খরচ আসে। উদয়পুরওয়াটি মহকুমার পাহাড়ি অঞ্চল, মান্দাওড়া, মাওতা কাটিলিপুরাসহ বিভিন্ন গ্রামে কৃষকরা সুগার বিট চাষ করে প্রচুর লাভ করছেন।
দেশীয় সার থেকে ফসল প্রস্তুত করুন
কৃষক সুলোচনা জানান, সুগারবিটসহ ফলমূল ও সবজি চাষে শুধুমাত্র গোবরের সার ব্যবহার করা হয়। প্রয়োজনে জৈব সারও ব্যবহার করা যেতে পারে। কৃষি পর্যবেক্ষক প্রহ্লাদ জাঙ্গিদ ও পুরাণ প্রকাশের মতে, উদ্ভাবনের কারণেই এসব সম্ভব হয়েছে।
কম সেচ, কম শীত-তাপ প্রভাব
বীট ফসলে সেচের প্রয়োজন কম থাকে। চিনি বিট ফসলের উপর শীত ও গরমের প্রভাবও কম। সেক্ষেত্রে পরিবর্তিত আবহাওয়ায় ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকে।
এটি বপনের সময়
কৃষক কাজোদ কুমাওয়াত জানান, সুগার বিটের ফসল বছরে তিনবার তৈরি করা যায়। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বীজ বপন করলে, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে ফসল প্রস্তুত হয়। জানুয়ারি মাসে, এপ্রিল-মে মাসে এবং আগস্ট মাসে বীজ বপন করে অক্টোবরে ফসল প্রস্তুত করা যায়।
খরচ কম, আয় বেশি
কৃষক কাজোদ ও সুলোচনা জানান, বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা চিনি বিট তৈরি করতে খরচ হয়। এক বিঘায় 10 থেকে 12 কুইন্টাল চিনি বিট পাওয়া যায়। এর বাজার মূল্য প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা। বিঘা প্রতি কৃষকের আয় হয় ২৫-৩৫ হাজার টাকা।
ফলমূল ও শাকসবজিতে উদ্ভাবন করে কম খরচে বেশি মুনাফা করছেন কৃষকরা। পাহাড়ি এলাকাসহ অন্যান্য গ্রামের কৃষকরাও স্বল্প পরিসরে সুগারবিট চাষ করছেন।
শিশরাম জাখর, সহকারী পরিচালক উদ্যান ঝুনঝুনুন মো