মহারাষ্ট্র, ভারতের বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্য, বর্তমানে একটি সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে কারণ পেঁয়াজের দাম একটি নতুন নিম্নে নেমে গেছে, যার ফলে নাসিক জেলার কৃষকরা শেষ মেটাতে লড়াই করছে৷ রাজ্য, যা দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনের 30% এর বেশি, অতিরিক্ত সরবরাহ, চাহিদা হ্রাস এবং স্টোরেজ সুবিধার অভাব সহ বিভিন্ন কারণের সংমিশ্রণ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।
পেঁয়াজের কম দাম অনেক কৃষককে অবিক্রিত পণ্য রেখে দিয়েছে, তারা উৎপাদন খরচের অনেক কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে। এর ফলে কৃষকদের জন্য উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে, যারা ইতিমধ্যেই বীজ, সার এবং শ্রমের মতো উচ্চ ইনপুট খরচের বোঝার মধ্যে রয়েছে।
পরিস্থিতি COVID-19 মহামারী দ্বারা আরও খারাপ হয়েছে, যার ফলে পেঁয়াজের চাহিদা হ্রাস পেয়েছে, বিশেষত হোটেল এবং রেস্তোরাঁ শিল্প থেকে। মহামারী চলাকালীন বাজারগুলি বন্ধ হওয়ার ফলে স্টোরেজ সুবিধাগুলিতে অ্যাক্সেসের অভাব দেখা দিয়েছে, যার ফলে ক্ষেতে পেঁয়াজ পচে গেছে।
মহারাষ্ট্র সরকার পেঁয়াজ চাষীদের সমর্থন করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজের ন্যূনতম সমর্থন মূল্য (MSP) ঘোষণা, অস্থায়ী স্টোরেজ সুবিধা স্থাপন এবং কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান। তবে স্বল্পমেয়াদে কৃষকদের দুর্ভোগ লাঘবে এসব ব্যবস্থা যথেষ্ট নাও হতে পারে।
মহারাষ্ট্রে পেঁয়াজের বাজারের সংকট কৃষকদের সমর্থন এবং তাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। এর মধ্যে রয়েছে অবকাঠামো এবং স্টোরেজ সুবিধার উন্নতি, শস্য বৈচিত্র্যের প্রচার, এবং কৃষকদের ক্রেডিট এবং বাজার তথ্যের অ্যাক্সেস প্রদান করা।
উপসংহারে, মহারাষ্ট্রে পেঁয়াজের কম দাম কৃষকদের জন্য উল্লেখযোগ্য ক্ষতির কারণ হয়েছে এবং কৃষিক্ষেত্রে পদ্ধতিগত পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। যদিও স্বল্পমেয়াদী পদক্ষেপগুলি কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে, তবে সংকটের মূল কারণগুলিকে মোকাবেলা করতে এবং কৃষকদের জীবিকা সুরক্ষিত করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমাধান প্রয়োজন।